সূরা হামাযাহ ও সূরা ফীল পাঠ করলে শত্রুর ক্ষতি ও ষড়যন্ত্র থেকে আল্লাহর হেফাজত লাভ হয়
– ইমাম ইয়ামাখশারী (রহ.)
বই: কুরআনের সূরার আমল ও ফজিলত (পৃষ্ঠা ৫১–৫২)
শত্রুর ষড়যন্ত্র, হিংসা–বিদ্বেষ আর অজানা ক্ষতির ভয়—এগুলো মুমিনের জীবনে বারবার আসে। কিন্তু আল্লাহ তাআলা কুরআনের এমন দুটি সূরা দিয়েছেন, যা একসাথে পড়লে বান্দা শত্রুর চক্রান্ত ও অদৃশ্য ক্ষতি থেকে হেফাজত পায়—সূরা ফীল ও সূরা হামাযাহ।
আমল করার পদ্ধতি
১. ওযু করে নিরিবিলি বা শত্রুর আশঙ্কার সময়ে বসুন।
২. প্রথমে ৩ বার সূরা ফীল, এরপর ৩ বার সূরা হামাযাহ পড়ুন।
৩. পাঠের আগে ও পরে ৩ বার করে দরুদ শরীফ পড়ুন।
৪. পাঠ শেষে এ দোয়া করুন:
“হে আল্লাহ! তুমি যেমন আবাবীল দিয়ে শত্রুর বাহিনী ধ্বংস করেছিলে, তেমনি আমার শত্রুর ষড়যন্ত্র ও ক্ষতি থেকেও আমাকে নিরাপদ রাখো।”
৫. এ আমল প্রতিদিন ফজরের পর অথবা ঘুমানোর আগে করলে সবচেয়ে উত্তম।
ফায়দা
শত্রুর চক্রান্ত, জাদু-টোনা ও অদৃশ্য ক্ষতি থেকে হেফাজত।
অহংকারী ও পরনিন্দাকারীর শারীরিক–মানসিক প্রভাব থেকে মুক্তি।
মুমিনের অন্তরে স্থিরতা ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা।
আপনি যদি এরকম আরো কুরআনের বরকতময় সূরাগুলোর আমল, ফজিলত ও তা জীবনে বাস্তব প্রয়োগ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান—
তাহলে “কুরআনের বরকতময় সূরার আমল ও ফজিলত” বইটি আপনার জন্য একটি প্রয়োজনীয় সাথী।
এতে আপনি জানতে পারবেন—
কোন সূরা কখন কতবার পড়লে কী ফজিলত রয়েছে
উলামায়ে কিরামের নির্ভরযোগ্য উৎস থেকে সংগৃহীত আমল
حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ، عَنْ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا شَبَابَةُ، حَدَّثَنِي وَرْقَاءُ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ إِنَّمَا الإِمَامُ جُنَّةٌ يُقَاتَلُ مِنْ وَرَائِهِ وَيُتَّقَى بِهِ فَإِنْ أَمَرَ بِتَقْوَى اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ وَعَدَلَ كَانَ لَهُ بِذَلِكَ أَجْرٌ وَإِنْ يَأْمُرْ بِغَيْرِهِ كَانَ عَلَيْهِ مِنْهُ ” .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) –এর সুত্র থেকে বর্ণিতঃ
নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইমাম বা শাসক ঢাল সরূপ। তার নেতৃত্বে যুদ্ধ করা হয় এবং শত্রুর ক্ষতি থেকে নিষ্কৃতি পাওয়া যায়। সে যদি তাকওয়া বা আল্লাহভীতি ও ন্যায় বিচারের ভিত্তিতে শাসনকার্য পরিচালনা করে, তবে তার জন্য সে পুরস্কার হবে। আর যদি ন্যায় ব্যতীত অন্য কিছু আদেশ করে তবে সে পাপের জন্য দায়ী হবে। (ই. ফা. ৪৬২০, ই. সে. ৪৬২১)
সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৪৬৬৬
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
সোর্স: আল হাদিস অ্যাপ,
জীবনের অনেক ক্ষতি আমরা দেখি না, কিন্তু তার প্রভাব আমাদের ঘিরে রাখে। আল্লাহর কালামই একমাত্র শক্তি যা গোপন ষড়যন্ত্র ধ্বংস করে দিতে পারে। তাই প্রতিদিন এই দুটো সূরা মিলিয়ে আমল করা আপনার জীবনের জন্য ঢালস্বরূপ হতে পারে।
যে বান্দা আল্লাহর কালামের ছায়ায় আশ্রয় নেয়, তার জীবনে কোনো ষড়যন্ত্র টিকে থাকতে পারে না। আজই এই ছোট আমল শুরু করুন—দেখবেন আপনার ভয়, দুশ্চিন্তা আর ক্ষতি ধীরে ধীরে আল্লাহর রহমতে দূর হয়ে যাবে।
حَدَّثَنَا أَبُو مَعْمَرٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ حَدَّثَنَا أَيُّوبُ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ قَدِمَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم الْمَدِينَةَ فَرَأَى الْيَهُودَ تَصُومُ يَوْمَ عَاشُورَاءَ فَقَالَ مَا هَذَا قَالُوا هَذَا يَوْمٌ صَالِحٌ هَذَا يَوْمٌ نَجَّى اللهُ بَنِي إِسْرَائِيلَ مِنْ عَدُوِّهِمْ فَصَامَهُ مُوسَى قَالَ فَأَنَا أَحَقُّ بِمُوسَى مِنْكُمْ فَصَامَهُ وَأَمَرَ بِصِيَامِهِ
ইব্নু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাদীনায় আগমন করে দেখতে পেলেন যে, ইয়াহুদীগণ ‘আশুরার দিনে সওম পালন করে। তিনি জিজ্ঞেস করলেনঃ কি ব্যাপার? (তোমরা এ দিনে সওম পালন কর কেন?) তারা বলল, এ অতি উত্তম দিন, এ দিনে আল্লাহ তা’আলা বনী ইসরাঈলকে তাদের শত্রুর কবল হতে নাজাত দান করেন, ফলে এ দিনে মূসা (আ) সওম পালন করেন। আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ আমি তোমাদের অপেক্ষা মূসার অধিক নিকটবর্তী, এরপর তিনি এ দিনে সওম পালন করেন এবং সওম পালনের নির্দেশ দেন।
সহিহ বুখারী, হাদিস নং ২০০৪
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
সোর্স: আল হাদিস অ্যাপ,
#islamic
#islamictips
#dawah
#islamicreminders








